পরিচিতি: দেশের সার্বিক উন্নয়ণের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের অবকাঠামো সৃষ্টির মাধ্যমে কৃষি উন্নয়ন, গ্রামীণ শিল্পায়ন, বেকার সমস্যার সমাধান ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে “লাভ নয়, লোকসান নয়” এবং “গ্রাহকগণই প্রকৃত মালিক” ধারণার ভিত্তিতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি হিসেবে ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ ১৯৯৯ সালে আত্মপ্রকাশ করে। দেশীয় সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার এবং প্রাপ্ত বৈদেশিক সহায়তাকে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগিয়ে পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম গ্রামীণ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ১৯৭৭ সালের ৩১ অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড গঠিত হয় এবং পর্যায়ক্রমে দেশের সর্বত্র বিদ্যুতায়নের উদ্দেশ্যে কার্যক্রম শুরু করে। তন্মধ্যে ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ ১৯৯৯ সালের ২২ আগস্ট রেজিষ্ট্রেশনপ্রাপ্ত হয় ও ১৯৯৯ সালের ০১ অক্টোবর বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ বিতরণ শুরু করে। এতদ অঞ্চলের কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্র প্রসারে ও জীবন যাত্রার মান উন্নয়ণ ও গণ সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে চলছে। সমিতিকে আর্থিকভাবে স্বণির্ভর করার লক্ষ্যে নিয়মতান্ত্রিকভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ গ্রহণ করা, সংযোগপ্রাপ্ত সকল সম্মানিত গ্রাহকগণের নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা, ট্রান্সফরমার চুরি রোধে সহায়তা করা এবং সমিতির দৈনন্দিন কাজে সহযোগীতা করাসহ সম্ভাব্য সকল ক্ষেত্রে বিদ্যুতের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে সমিতির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধিতে সংশ্লিষ্ট সকলের ভূমিকা রাখা জরুরী।
‘‘গ্রাহক সেবা নির্দেশিকা’’
টেলিফোন/মোবাইল নম্বর সমূহঃ
জেনারেল ম্যানেজার, ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ | ০১৭৬৯৪০০০২৫ |
সদর দপ্তর অভিযোগ কেন্দ্র | ০১৭৬৯৪০১০৯১ |
আগলা অভিযোগ কেন্দ্র | ০১৭৬৯৪০১০৯৩ |
বারুয়াখালী অভিযোগ কেন্দ্র | ০১৭৬৯৪০১০৯৭ |
চূড়াইন এরিয়া অফিস | ০১৭৬৯৪০১০৯৪ |
বান্দুরা অভিযোগ কেন্দ্র | ০১৭৬৯৪০১০৯৬ |
মেলেং অভিযোগ কেন্দ্র | ০১৭৬৯৪০১০৯৫ |
ডিজিএম, জিঞ্জিরা জোনাল অফিস | ০১৭৬৯৪০০১৩৬ |
জিঞ্জিরা জোনাল অফিস অভিযোগ কেন্দ্র | ০১৭৬৯৪০১১০৫ |
রুহিতপুর অভিযোগ কেন্দ্র | ০১৭৬৯৪০১১০৭ |
আগানগর অভিযোগ কেন্দ্র | ০১৭৬৯৪০১১০৬ |
ডিজিএম, হাসনাবাদ জোনাল অফিস | ০১৭৬৯৪০০১৩৪ |
হাসনাবাদ জোনাল অফিস অভিযোগ কেন্দ্র | ০১৭৬৯৪০১১০৯ |
আব্দুলাহপুর অভিযোগ কেন্দ্র | ০১৭৬৯৪০১১১১ |
কোন্ডা অভিযোগ কেন্দ্র | ০১৭৬৯৪০১১১২ |
ডিজিএম, দোহার জোনাল অফিস | ০১৭৬৯৪০০১৩৮ |
দোহার জোনাল অফিস অভিযোগ কেন্দ্র | ০১৭৬৯৪০১০৯৮ |
কার্তিকপুর অভিযোগ কেন্দ্র | ০১৭৬৯৪০১১০১ |
দোহার উপকেন্দ্র অভিযোগ কেন্দ্র | ০১৭৬৯৪০১০৯৯ |
নারিশা অভিযোগ কেন্দ্র | ০১৭৬৯৪০১১০০ |
ডিজিএম, কলাতিয়া জোনাল অফিস | ০১৭৬৯৪০০১৩৭ |
কলাতিয়া জোনাল অফিস অভিযোগ কেন্দ্র | ০১৭৬৯৪০১১০২ |
হযরতপুর অভিযোগ কেন্দ্র | ০১৭৬৯৪০১১০৪ |
তারানগর এরিয়া অফিস | ০১৭৬৯৪০১১০৩ |
ডিজিএম, শুভাঢ্যা জোনাল অফিস | ০১৭৬৯৪০০১৩৫ |
শুভাঢ্যা অভিযোগ কেন্দ্র | ০১৭৬৯৪০১১০৮ |
‘‘ বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হোন’’ ‘‘ অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন’’ |
‘‘ উত্তম গ্রাহক সেবাই আমাদের লক্ষ্য’’
এক অবস্থানে সেবা
ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ ‘‘এক অবস্থানে সেবা’’ কেন্দ্রে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ/বিদ্যুৎ বিভ্রাট/বিল/মিটার সংক্রান্ত অভিযোগ, বিল পরিশোধের ব্যবস্থাসহ সকল ধরনের অভিযোগ জানানো যাবে এবং এতদসংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য পাওয়া যাবে।
নতুন সংযোগ গ্রহন
* ‘‘এক অবস্থানে সেবা কেন্দ্র’’ থেকে নতুন সংযোগের আবেদনপত্র পাওয়া যাবে।
* আবেদন পত্রটি যথাযথভাবে পূরণ করে নির্ধারিত আবেদন ফি অত্র দপ্তরের ক্যাশ শাখায় জমা প্রদান করে রশিদ ও প্রয়োজনীয় দলিলাদিসহ ‘‘এক অবস্থানে সেবা কেন্দ্র’’ এ জমা করলে আপনাকে একটি নিবন্ধন নম্বরসহ পরবর্তী আগমনের তারিখ জানানো হবে।
* পরবর্তী আগমনের তারিখে যোগাযোগ করলে আপনাকে ডিমান্ড নোট ও প্রাক্কলন ইস্যু করা হবে। ‘‘এক অবস্থানে সেবা কেন্দ্র’’ সংলগ্ন অত্র দপ্তরের ক্যাশ শাখায় ডিমান্ড নোটের উল্লেখিত অর্থ জমা প্রদান করে ওয়্যারিং সম্পন্ন পূর্বক অবহিত করলে সমিতি কর্তৃক ওয়্যারিং পরিদর্শক পূর্বক সংযোগ প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্তৃক সরবরাহকৃত অথবা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত ক্রয়কৃত মিটার গ্রাহক জমা দিলে মিটার গ্রাহকের আঙ্গিনায় স্থাপন করা হবে। যদি সংযোগ প্রদান সম্ভবপর না হয় তবে কারন জানিয়ে আপনাকে একটি পত্র দেয়া হবে।
* পরবর্তী মাসের বিলিং সাইকেল অনুযায়ী গ্রাহকের প্রথম মাসের বিল জারী করা হবে।
বিল সংক্রান্ত অভিযোগ
বিল সংক্রান্ত যে কোন অভিযোগ যেমনঃ চলতি মাসের বিল পাওয়া যায়নি, বকেয়া বিল, অতিরিক্ত বিল ইত্যাদির জন্য ‘‘এক অবস্থানে সেবা কেন্দ্র’’ এ যোগাযোগ করলে তাৎক্ষনিক সমাধান সম্ভব হলে তা নিষ্পত্তি করা হবে। অন্যথায় একটি নিবন্ধন নম্বর দিয়ে পরবর্তী যোগাযোগের সময় জানিয়ে দেয়া হবে এবং পরবর্তী ৭ (সাত) দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিল পরিশোধ
* ‘‘এক অবস্থানে সেবা কেন্দ্র’’ সংলগ্ন অত্র পবিস এর ক্যাশ শাখায়/নির্ধারিত ব্যাংক এ গ্রাহক বিল পরিশোধ করতে পারবেন।
বিদ্যুৎ বিভ্রাটের অভিযোগ
ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর সকল ‘‘অভিযোগ কেন্দ্র’’ অথবা ‘‘এক অবস্থানে সেবা কেন্দ্র’’ এ আপনার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের অভিযোগ জানানো হলে আপনাকে অভিযোগ নম্বর ও নিষ্পত্তির সম্ভাব্য সময় জানিয়ে দেয়া হবে। অভিযোগ নম্বরের ক্রমানুসারে আপনার বিদ্যুৎ বিভ্রাট দূরীভূত করার লক্ষ্যে ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোন ক্ষেত্রে যদি নির্ধারিত সময়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দূরীভূত করা সম্ভব না হয়, তার কারন গ্রাহককে অবহিত করা হবে।
নতুন সংযোগের জন্য দলিলাদিঃ
নতুন সংযোগের জন্য আবেদন পত্রের সাথে নিম্নোক্ত দলিলাদি দাখিল করতে হবেঃ
* সংযোগ গ্রহনকারীর পাসপোর্ট সাইজের ০২ (দুই) কপি সত্যায়িত রঙ্গিন ছবি।
* ভোটার আইডি কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি।
* জমির মালিকানা দলিলের সত্যায়িত কপি।
* ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা কর্তৃক বাড়ীর অনুমোদিত সত্যায়িত নক্সা এবং নামজারীসহ হোল্ডিং নম্বর এর সত্যায়িত কপি ও দলিল অথবা দাগ নম্বর, খতিয়ান নম্বর, জমির দলিল, চেয়ারম্যান/কমিশনারের সার্টিফিকেট (যেখানে নক্সা অনুমোদন নাই)।
* লোড চাহিদার পরিমান।
* জমি/ভবনের ভাড়ার (যদি প্রযোজ্য হয়) দলিল।
* ভাড়ার ক্ষেত্রে মালিকের সম্মতি পত্রের দলিল।
* পূর্বের কোন সংযোগ থাকলে ঐ সংযোগের বিবরন ও সর্বশেষ পরিশোধিত বিলের কপি।
* অস্থায়ী সংযোগের ক্ষেত্রে বিবরন (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
* ট্রেড লাইসেন্স (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
* সংযোগ স্থানের নির্দেশক নক্সা।
* শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের নিমিত্তে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন।
* পাওয়ার ফ্যাক্টর ইমপ্রুভমেন্ট প্লান্ট স্থাপন (শিল্পের ক্ষেত্রে)।
* সার্ভিস লাইন এর দৈর্ঘ্য ১০০ ফুটের বেশী হবে না।
* বহুতল আবাসিক/বাণিজ্যিক ভবন নির্মাতা ও মালিকের সাথে ফ্ল্যাট মালিকের চুক্তিনামার সত্যায়িত কপি।
৫০ কিঃওঃ এর উর্দ্ধে সংযোগের জন্য গ্রাহককে আরও যে দলিলাদি দাখিল করতে হবেঃ
* পৌরসভা অথবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অনুমোদিত বাড়ীর নক্সার সত্যায়িত কপি, উপকেন্দ্রের লে-আউট প্লান।
* সিঙ্গেল লাইন ডায়াগ্রাম।
* মিটার কক্ষ প্রদানের অঙ্গীকারনামা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
* উপকেন্দ্র স্থাপিত সকল যন্ত্রপাতির স্পেসিফিকেশন ও টেষ্ট রেজাল্ট এবং বৈদ্যুতিক উপদেষ্টা ও প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শকের দপ্তর থেকে প্রদত্ত উপকেন্দ্র সংক্রান্ত ছাড়পত্র।
শিল্প-কারখানা ও ৬ তলার অধিক ভবনে সংযোগের জন্য গ্রাহককে আরও যে দলিলাদি দাখিল করতে হবেঃ
* পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
* ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর ছাড়পত্রের কপি।
নতুন সংযোগের সমীক্ষা ফি
বিদ্যুৎ সংযোগ সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজের অফেরতযোগ্য সমীক্ষা ফি নিম্নরূপ হারে আবেদনের সহিত জমা প্রদান করতে হবেঃ
ক্রমিক নং | বিবরন | অফেরতযোগ্য সমীক্ষা ফি (টাকা) |
০১ | বাড়ী/বাণিজ্যিক/দাতব্য প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য একক ও দলগত আবেদনের ক্ষেত্রেঃ |
|
ক) একক আবেদনের ক্ষেত্রে | ১০০.০০ | |
খ) ২ হতে ৯ জন পর্যন্ত আবেদনের (জন প্রতি) ক্ষেত্রে | ১০০.০০ | |
গ) ১০ হতে ২০ জন পর্যন্ত গ্রুপ সম্বলিত আবেদনের ক্ষেত্রে (নির্ধারিত) | ১৫০০.০০ | |
ঘ) ২১ জন ও তদুর্দ্ধের গ্রুপ সম্বলিত আবেদনের ক্ষেত্রে (নির্ধারিত) | ২০০০.০০ | |
০২ | সেচ সংযোগের জন্য | ২৫০.০০ |
০৩ | যে কোন ধরনের অস্থায়ী সংযোগের জন্য | ১৫০০.০০ |
০৪ | উপরে বর্ণিত সংযোগ ও শিল্প প্রতিষ্ঠান ব্যতিত অন্য কোন সাময়িক/স্থায়ী সংযোগের জন্য | ১৫০০.০০ |
০৫ | পোল স্থানান্তর/লাইন রুট পরিবর্তন/সমিতি কর্তৃক স্থাপিত অন্য গ্রাহকের ড্রপ স্থানান্তরের আবেদনের জন্য | ৫০০.০০ |
০৬ | শিল্প প্রতিষ্ঠানের সংযোগের জন্য (জিপি) | ২৫০০.০০ |
০৭ | বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানের সংযোগের জন্য (এলপি) | ৫০০০.০০ |
০৮ | লোড বৃদ্ধির জন্য (০-১০) কিঃওঃ | ১০০০.০০ |
(১১-৪৫) কিঃওঃ | ২০০০.০০ | |
(৪৬ থেকে তদুর্ধ) কিঃওঃ | ৫০০০.০০ |
নতুন সংযোগের জন্য জামানতের পরিমান
* আবাসিক, বাণিজ্যিক ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানের ফেরতযোগ্য জামানত ০.৫০ কিঃওঃ লোড পর্যন্ত ৫০০.০০ টাকা, ০.৫০ কিঃওঃ এর উর্দ্ধ থেকে ১ কিঃওঃ পর্যন্ত ৬০০.০০ টাকা এবং ১ কিঃওঃ এর উপরে প্রতি কিঃওঃ/ভগ্নাংশের জন্য ২০০.০০ টাকা হারে জামানত জমা দিতে হবে।
* সেচ সংযোগের ক্ষেত্রে জামানতের পরিবর্তে অগ্রীম বিদ্যুৎ বিল জমা দিতে হবে। অগভীর নলকূপ ও এল এল পি এর ক্ষেত্রে প্রতি অশ্বশক্তি ৬২৫.০০ টাকা হিসেবে তবে ৩০০০.০০ টাকার কম নয়। গভীর নলকূপের ক্ষেত্রে প্রতি অশ্বশক্তি ১০০০.০০ টাকা হিসেবে।
* ষ্ট্রীট লাইট এর ক্ষেত্রে ৩ মাসের ন্যূনতম বিদ্যুৎ বিল অর্থাৎ ২২৫×৬=১,৩৫০.০০ টাকা।
* জিপি এর ক্ষেত্রে চুক্তিবদ্ধ লোড প্রতি কিঃওঃ ১,৭৩৬.০০ টাকা হিসেবে।
* এলপি এর ক্ষেত্রে চুক্তিবদ্ধ লোড প্রতি কিঃওঃ ১,৭৩৬.০০ টাকা হিসেবে।
অফেরৎযোগ্য জামানত
শুধুমাত্র ধান/আটা কলের ক্ষেত্রে জামানত ছাড়াও নিম্নোক্তভাবে অফেরতযোগ্য জামানত জমা দিতে হবে।
* ১ ফেজ সংযোগের ক্ষেত্রে অফেরতযোগ্য জামানত প্রতি অশ্বশক্তি = ৭৫০.০০ টাকা।
* ৩ ফেজ সংযোগের ক্ষেত্রে অফেরতযোগ্য জামানত প্রতি অশ্বশক্তি = ১,৫০০.০০ টাকা।
অস্থায়ী বিদ্যুৎ সংযোগ
* ধর্মীয় অনুষ্ঠান, মেলা, আনন্দ মেলা এবং রাস্তা, ব্রীজের নির্মান কাজের জন্য অস্থায়ী বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা যাবে। কিন্তু চলমান নির্মান কাজ সম্পন্ন বাড়ী, শিল্প অথবা কমপ্লেক্সে অস্থায়ী সংযোগ প্রদান করা যাবে না। এ সংযোগ শুধুই অস্থায়ী ভিত্তিতে যা কখনই স্থায়ী সংযোগে পরিবর্তন করা যাবে না। এ ধরনের সংযোগের জন্য নিম্নলিখিত শর্ত ও পদ্ধতি অনুসরন করতে হবে।
ক) এ সংযোগের জন্য প্রয়োজনীয় সকল মালামালের বুক ভ্যালুর শতকরা ১১০ ভাগ শূল্যে গ্রাহককে অগ্রীম জমা প্রদান করতে হবে। (ট্রান্সফরমার, লাইটনিং এ্যারেষ্টার, ফিউজ কাটআউট, মিটার এবং মিটার সকেট ব্যতিত) কার্য সম্পন্নের পর উক্ত মালামাল ব্যবহারের উপযুক্ত হলে ১০০% মালামালের মূল্য ফেরত প্রদান করা হবে।
খ) এ সংযোগ সুবিধা সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় শ্রমিকের মজুরী এবং বিচ্ছিন্ন ও সংযোগ ফি অগ্রীম জমা প্রদান করতে হবে।
গ) সার্ভিস চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের ব্যবহৃত বিদ্যুতের প্রাক্কলিত মূল্য জিপি রেট সিডিউল অনুযায়ী অগ্রীম অগ্রীম জমা দিতে হবে।
* উপরোক্ত বর্ণনানুযায়ী অর্থ ছাড়াও নীতি নির্দেশিকা মোতাবেক প্রযোজ্য ক্ষেত্রে লাইন নির্মান/লাইন রুপামতর/পরিবর্তন ব্যয় গ্রাহককে বহন করতে হবে।
লোড পরিবর্তন
* লোড বৃদ্ধির জন্য সমীক্ষা ফি দিয়ে আবেদন করতে হবে।
* লোড বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বর্ধিত লোডের জন্য শ্রেনী ভিত্তিক প্রযোজ্য জামানত প্রদান করতে হবে।
* অতিরিক্ত লোডের জন্য সার্ভিস তার/ট্রান্সফরমার বদলানোর প্রয়োজন হলে উক্ত ব্যয় গ্রাহককে বহন করতে হবে।
* প্রাক্কলন জামানতের অর্থ জমা দানের ৭ (সাত) দিনের মধ্যে লোড বৃদ্ধি কার্যকর করা হবে। যদি লোড বৃদ্ধি করা সম্ভবপর না হয় তবে তার কারন জানিয়ে গ্রাহককে একটি পত্র দেয়া হবে।
গ্রাহকের মালিকানা পরিবর্তন পদ্ধতি
গ্রাহক ক্রয়সূত্রে/ওয়ারিশ সূত্রে জায়গা বা প্রতিষ্ঠানের মালিক হলে সকল দলিলের সত্যায়িত ফটোকপি ও পরিশোধিত বিদ্যুৎ বিলের কপি প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স, আর্টিক্যাল অব মেমোরেন্ডাম, পাসপোর্ট সাইচের ০২ (দুই) কপি সত্যায়িত রঙ্গিন ছবিসহ আবেদন করতে হবে। সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে মালিকানা পরিবর্তনের জন্য নির্ধারিত হারে জামানত প্রদান ও মালিকানা পরিবর্তন ফি জমা প্রদান সাপেক্ষে ৭ (সাত) দিনের মধ্যে মালিকানা পরিবর্তন করা হবে।
অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার, মিটারে হস্তক্ষেপ, বাইপাস, বিনা অনুমতিতে সংযোগ গ্রহন ইত্যাদি ক্ষেত্রে আইনগত ব্যবস্থাঃ
বিদ্যুৎ আইনের (Electricity Act. 1910 & As Amended ‘’The Electricity (Amendment) Act. 2006’’) ৩৯ ধারা অনুসারে এ ক্ষেত্রে ন্যূনতম ১ বছর হতে ৩ বছর পর্যন্ত জেল এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানর বিধান রয়েছে। তাছাড়া, অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য সমিতির নীতিমালা অনুসারে সাধারন জরিমানা ও ক্ষতিগ্রস্থ বিল প্রদান করতে হবে। এ ছাড়াও উক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারের দ্বারা যদি বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থার বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, মিটার, মিটারিং ইউনিট ইত্যাদি ক্ষতিগ্রস্থ হয় তবে ক্ষতিগ্রস্থ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, মিটার, মিটারিং ইউনিট ইত্যাদি পুনরায় সচল করা গেলে উহার ৫০% মূল্য এবং পুনঃ স্থাপন ব্যয় অথবা সম্পূর্ণ ধ্বংস প্রাপ্ত বা পুনরায় সচল করা যাবে না এরূপ সরঞ্জামের জন্য পুনঃস্থাপনের ব্যয়সহ প্রকৃত মূল্য আদায় করা হবে।
শ্রেনী ভিত্তিক বিদ্যমান বিদ্যুতের মূল্যহার
(০১/০৯/২০১২ইং হতে প্রযোজ্য)
ক্রমিক নং | গ্রাহক শ্রেনী | প্রতি ইউনিট মূল্য (টাকায়) |
০১। | শ্রেনী-বিঃ আবাসিক ক) প্রথম ধাপঃ ০০ হতে ৭৫ ইউনিট খ) দ্বিতীয় ধাপঃ ৭৬ হতে ২০০ ইউনিট গ) তৃতীয় ধাপঃ ২০১ হতে ৩০০ ইউনিট ঘ) চতুর্থ ধাপঃ ৩০১ হতে ৪০০ ইউনিট ঙ) পঞ্চম ধাপঃ ৪০১ হতে ৬০০ ইউনিট চ) ষষ্ঠ ধাপঃ ৬০০ ইউনিটের এর উর্ধ্বে |
৩.৬৮ ৪.৬৩ ৪.৭৯ ৬.৮৯ ৭.১৯ ৯.৩৮ |
০২। | শ্রেনী-আইঃ কৃষি কাজে ব্যবহৃত পাম্প | ৩.৫৭ |
০৩। | শ্রেনী-জিপি/ক্ষুদ্র শিল্প ক) ফ্ল্যাট রেট খ) অফ-পিক সময়ের রেট গ) পিক সময়ের রেট |
৬.৯৫ ৫.৯৬ ৮.৪৭ |
০৪। | শ্রেনী-সিঃ বাণিজ্যিক | ৯.০০ |
০৫। | শ্রেনী-এলপি/বৃহৎ শিল্প ক) ফ্ল্যাট রেট খ) অফ-পিক সময়ের রেট গ) পিক সময়ের রেট |
৬.৮১ ৫.৯৬ ৯.৩৩ |
০৬। | শ্রেনী-এস এলঃ রাস্তার বাতি | ৬.৪৮ |
০৭। | শ্রেনী-সিআইঃ দাতব্য প্রতিষ্ঠান | ৪.৫৩ |
* পিক সময়ঃ বিকাল ৫টা হতে রাত ১১ টা পর্যন্ত।
* অফ-পিক সময়ঃ রাত ১১ টা হতে পরদিন বিকাল ৫ টা পর্যন্ত।
উপরোক্ত বিদ্যুতের মূল্যহারের সাথে ন্যূনতম চার্জ, ডিমান্ড চার্জ, সার্ভিস চার্জ ও অন্যান্য শর্তাবলীসহ মূল্য সংযোজন কর যথারীতি প্রযোজ্য হবে। বিদ্যুতের মূল্যহার সরকার কর্তৃক অনুমোদিত এবং পরিবর্তনযোগ্য।
গ্রাহকের জ্ঞাতব্য বিষয়
* সান্ধ্য পিক-আওয়ারে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হোন। আপনার সাশ্রয়কৃত বিদ্যুৎ অন্যকে আলো জ্বালাতে সহায়তা করবে।
* সংযোগ বিচ্ছিন্ন এড়াতে নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করুন এবং বিলম্ব মাশুল পরিশোধের ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকুন।
* বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয়কল্পে মানসম্মত এনার্জি সেভিং বাল্ব (CFL) ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার করুন।
* টিউব লাইটে Electroic Ballast ব্যবহার করে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করুন।
* বিদ্যুৎ একটি মূল্যবান জাতীয় সম্পদ। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এই সম্পদের সুষ্ঠ ও পরিমিত ব্যবহারে ভূমিকা রাখুন।
* বৎসরান্তে অত্র পবিস হতে আবাসিক শ্রেনীর গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের প্রমান পত্র প্রদান হয়ে থাকে।
* মিটার রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব আপনার। এর সঠিক সুষ্ঠু অবস্থা ও সীল সমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।
* লোড শেডিং সংক্রান্ত তথ্য সংশ্লিষ্ট এলাকার আওতাধীন কন্ট্রোল রুম/অভিযোগ কেন্দ্র থেকে জানা যায়।
* বিদ্যুৎ চুরি ও এর অবৈধ ব্যবহার থেকে নিজে বিরত থাকুন ও অন্যকে নিবৃত করুন। বিদ্যুৎ চুরি ও এর অবৈধ ব্যবহার রোধে আপনার জ্ঞাত তথ্য গ্রাহক সেবা কেন্দ্র/অভিযোগ কেন্দ্র/এরিয়া অফিস এ অবহিত করে সহযোগীতা করা আপনার দায়িত্ব।
* ইদানিং একটি সংঘবদ্ধ অসাধু চক্র চালু লাইন হতে ট্রান্সফরমার/বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি/তার চুরির সাথে জড়িত। সুতরাং আপনার এলাকার উপরিউক্ত চুরি রোধ তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করুন।
আরইই-ডিডিপি-১
১০ লক্ষ গ্রাহক সংযোগ প্রকল্প
১.৮ মিলিয়ন গ্রাহক সংযোগ প্রকল্প
কালিন্দী, কেরাণীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০।
ফোন:
ফ্যাক্স: ই-মেইল: dhakapbs2@yahoo.com
info@dhakapbs2.org.bd
Web: www.dhakapbs2.org.bd
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস